তমোনাশ বাংলা ভাষাসাহিত্য ও ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। যুক্ত আছেন ভাষা চর্চার বিষয়ে। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, সংস্কৃত ও উর্দুর পর তাঁর এখনকার চর্চা জার্মান ও মারাঠি ভাষা। ভাষাচর্চার মাধ্যমে দুনিয়াব্যাপী জীবনচর্চার মৌলিক একত্ব খুঁজে নিতে চান তমোনাশ।

তিনি বঙ্গীয় সঙ্গীত সমিতি থেকে সঙ্গীত ভাস্কর হিসেবে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং স্বর্ণপদক পান। চণ্ডীগড় প্রাচীন কলা কেন্দ্র থেকে সঙ্গীত প্রভাকর হিসেবে পান রৌপ্য পদক। এছাড়াও ভারতবিখ্যাত ভাতখান্ডে মিউজিক কলেজের সর্বোচ্চ পরীক্ষা সঙ্গীত নিপুণ পরীক্ষাও তিনি সফলভাবে উত্তীর্ণ।

সাম্প্রতিক লেখা

সায়েরি

সায়েরি ২

থক রহা হুঁ ম্যায়কিঁউকি কোই কাম নেহি হ্যায়।ফাড়ে ফাড়ে আঁখে ভি থকি,ফিরভি উনহে কোই আরাম নেহি হ্যায়।বিখরে পড়ে হুয়ে হ্যায় নজারে , খুশবু ,জাম , জুনুন , মোহাব্বত !মেরা কোই শাম নেহি হ্যায়।রাতেঁ তো নিনদোকো জমায়া হুয়া কালে পাত্থরোঁকা নাম হ্যায়।উসমে ভি দরারে আউর ছালে পড় গ্যয়ে হ্যায় হুজুর!শাম যো মায়ুশি, সিদ্বা আউর ইন্তেজারকা হোতি হ্যায়,ইঁহা তো উনকা কোই নামো-নিশান নেহি হ্যায়। سیاری 2   یہیں رہوکیوکی کوئی کام نہیں ہے۔میں پھنس گیا ہوں،پھروی انھے کوئی آرام نہیں ہے۔ہیو ہے بکھر گیا۔ نذر، خوشبو، جام، جنون، محبت!میرا کوئی شام نہیں ہے۔رتن تو ننڈوکو جمایا ہوا کالے پتھرونکا نام ہے۔اسمے وی ڈرارے اور چلے پڑ گئے ہیں حضور!شام یو میوشی، سدوا اور انتظار ہوتی ہے،انہا سے انکا کوئی نامو نشان نہیں ہے۔

Read More »
ছোটগল্প

জীবন-বকুল

বেঁটেহাবুর বাবা শ্রীযুক্ত কানাজীবন ডাকের কর্মী । প্রতিদিন চুঁচড়ো অফিস । জনশ্রুতি যে ডাকঘরের দেয়াল হবার ইঁট থেকে প্রতিদিন দুহাতে দুটো বয়ে এনে পাড়ার রাস্তা থেকে বাগানটাকে তিনি আলাদা করেন । স্ত্রী পদ্মরানি দজ্জাল ও জাঁদরেল । তাঁর প্ররোচনায় পূর্বোক্ত হাবু একদিন পিতা-পুত্র সংঘাতে অরণ্যদেব হন । ঘুঁষির ধাক্কায় আংটির ক্ষত বসান জীবনবাবুর ডান চোখের ওপর । তাই ‘কানা’ । আসলে অঙ্গুরিঘাতে ডান চোখের উপরের মাংস খুলে খানিকটা ঝুলে গেছিল । ওরম দেখাতো । জগদ্ধাত্রী পুজোয় ধুম খুবই বেশি । ছোটবেলায় দেখেছি বিরাট ভাঙ্গা খিলানের এক পূজাগৃহ । আগাছাধিকৃত । খিলানের বহর তার এককালীন উজ্জীবনের স্মরণ । এখন যেখানে পুজো হয় সেটা ছোট ছোট তিনটে খিলানে ভাগ করা ফুট পনেরো উঁচু একটা কোঠা । কড়িবর্গার আলকাতরা আর দেওয়ালের অ্যালা সন্ধ্যের

Read More »
ছোটগল্প

আবদ্ধ

সিট  সালা!! সকাল বেলাই মোটাটা এসে বসেছে । একটু দম নিতে পারছিনা । রোজ সকালে ট্রেন থেকে নামবে সবার পেছনে । কেউ তো সামনে আসতেই দেয় না ওটাকে । আটকে দেয় তো পুরো ! শেষে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে নেমে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়বে । ও ভাবে দৌড়াচ্ছে কিন্তু লোকে মোটেই ভাবেনা । এখন তাও সেই মেশিনের সিঁড়ি হয়েছে , ওতে করে এক নম্বর প্লাটফর্মে নেমে তবে বাইরে আসে । ছুটে এসে ধপ করে বসে পড়ে  । আমি রোজ আড়ে আড়ে তাকাই । ভগবানকে ডাকি । পাশেই দু’চারটে মন্দির নতুন হয়েছে । ‘আজ যেন মালটা না আসে ,  কামাই করে’ । কিন্তু কামাই করে না । হাঁপাতে হাঁপাতে ঠিক আসে । টেরা মাল । কিন্তু ঠিক দেখি একই জায়গায় বসে পড়ে ।

Read More »
কবিতা

দায়িত্ব

দায়িত্ববাড়ির দেয়ালে ঝুলিয়ে, চলে আসা, ছবির মত হয়ে যাচ্ছ তুমি।খুব সবসময় ভাবব বলে ফিরে এলাম –এদিকে তুমি বহুপ্রশাখী।তারা তোমার দিকেই বিষকাঁটা মেলে এগোয়।সিঁটিয়ে যাচ্ছ,চিৎকার করছ, গুমরোচ্ছ …. শেকড় চারিয়েছে….গাছ হাঁটতে পারে না। গান–কথা–আবছায়া সময়ের কাঁটাচামচে বাঁচার তামাগ্লাসে ঘুলিয়ে বিষামৃত তৈয়ার।না খেলে সাঁড়াশিতে মুখ ফাঁক করে ফাঁদলে খাওয়াবে। দেয়ালে ঝুলিয়ে চলে আসা ছবির মত হয়ে যাচ্ছ তুমি…তোমার অবসর নেই…সৃষ্টি নেই অগত্যা।বৃষ্টি দূরঅস্ত হলে বাথটব আশ্রয় করেছিলাম।তোয়ালেতে হাত যায় না।হাত পায়ের মত মনটা পচে না যায়,   দেখো।

Read More »
ছোটগল্প

ইষ্ট-অনিষ্ট

আমরা উৎকর্ণ হয়ে থাকতাম । মা-কাকিমা উদ্বিগ্ন । বাবা-কাকারা কী থাকতেন জানিনা , কিন্তু স্বস্তিতে থাকতেন না এটুকু ঠিক । দোতলা বাড়ি আমাদের । যদিও পলেস্তরাগুলো বাইরের দিকে কিছু কিছু খসেছিল , ভিতর সব ভালই সাফসুতরো ছিল । দুর্গামন্দিরের পেছনে শরিকে শরিকে ভাঙতে ভাঙতে , উঠোন ভেঙে পাঁচিল উঠে , একটা তিনহাত সরু গলি পেরোলে তবে আমাদের সদর দরজা । দু’পাশের সিংহ পেছনদিকে বড় রাস্তার শরিকের ভাগে , দাঁত খিঁচিয়ে কুত্তা । আমাদের সিংহও ছিলনা শুধু সিংহের খসে যাওয়া কটা কেশ নিজের সিন্দুকে পুরে দাদু শ্রীরাম গোস্বামী বিরাজিত ছিলেন । বাবা কাকা দুজনেই কোন সিংহভাগের আশা না করে স্টিল প্লান্ট এর কারখানায় দৈনিক পঁচাত্তর পয়সা রেটে মাটি খোঁড়ার সুপারভাইজারি নিয়েছিলেন । শহর পত্তনের সময় সেই চাকরি মাসে ওভারটাইম নিয়ে ষাট-সত্তর

Read More »
ছোটগল্প

নিরর্থক

জ্যোৎস্নালোকিত রাত্রিতে কুয়ার ধারে দাঁড়াইয়া সে তাহার তিন মাস সতেরো দিন বয়সী মাজা রংয়ের নধর পুত্রসন্তানটিকে প্রগাঢ় চুম্বন করিল ।  হে প্রাণপ্রিয় সস্তা খেউরের রসিক পাঠক , আমাদের ফট করে ফুটে উঠে ঝপ করে ফুরিয়ে গেল গল্পমালার উনপঞ্চবিংশৎ গল্পে আপনাকে স্বাগত জানাই । এ গল্প এমন একটি মেয়ের দাঁত ওঠার আগে যার নামকরণ হয়নি । নগা মন্ডলের ষষ্ঠ কন্যার নামের প্রয়োজন বহুদিন অনুভূত হয়নি । কারণ কেউ তাকে ডাকতো না । দাদু ঠাকমা তার বহু আগে জগত মদ্যের মায়া ত্যাগ করায় আদর করার কেউ অবশিষ্ট ছিল না । তাই শোয়া থেকে উল্টোনো , উল্টোনো  থেকে কুক্কুরীমুদ্রা , কুক্কুরীমুদ্রা থেকে হামাগুড়ি হয়ে হাঁটা পর্যন্ত তার মা ভিন্ন কেউ খেয়াল করলো না । খেয়াল করলো দাঁত ওঠার সময় । উপরের মাড়ির সামনের

Read More »
© 2024 Tamonash Chattopadhyay
Designed with Love by ArtFolio