লেখার পাতা

ছোটগল্প

ছোটগল্প

নিরর্থক

জ্যোৎস্নালোকিত রাত্রিতে কুয়ার ধারে দাঁড়াইয়া সে তাহার তিন মাস সতেরো দিন বয়সী মাজা রংয়ের নধর পুত্রসন্তানটিকে প্রগাঢ় চুম্বন করিল ।  হে প্রাণপ্রিয় সস্তা খেউরের রসিক পাঠক , আমাদের ফট করে ফুটে উঠে ঝপ করে ফুরিয়ে গেল গল্পমালার উনপঞ্চবিংশৎ গল্পে আপনাকে স্বাগত জানাই । এ গল্প এমন একটি মেয়ের দাঁত ওঠার আগে যার নামকরণ হয়নি । নগা মন্ডলের ষষ্ঠ কন্যার নামের প্রয়োজন বহুদিন অনুভূত হয়নি । কারণ কেউ তাকে ডাকতো না । দাদু ঠাকমা তার বহু আগে জগত মদ্যের মায়া ত্যাগ করায় আদর করার কেউ অবশিষ্ট ছিল না । তাই শোয়া থেকে উল্টোনো , উল্টোনো  থেকে কুক্কুরীমুদ্রা , কুক্কুরীমুদ্রা থেকে হামাগুড়ি হয়ে হাঁটা পর্যন্ত তার মা ভিন্ন কেউ খেয়াল করলো না । খেয়াল করলো দাঁত ওঠার সময় । উপরের মাড়ির সামনের

পুরো লেখা পড়ুন »
ছোটগল্প

ইষ্ট-অনিষ্ট

আমরা উৎকর্ণ হয়ে থাকতাম । মা-কাকিমা উদ্বিগ্ন । বাবা-কাকারা কী থাকতেন জানিনা , কিন্তু স্বস্তিতে থাকতেন না এটুকু ঠিক । দোতলা বাড়ি আমাদের । যদিও পলেস্তরাগুলো বাইরের দিকে কিছু কিছু খসেছিল , ভিতর সব ভালই সাফসুতরো ছিল । দুর্গামন্দিরের পেছনে শরিকে শরিকে ভাঙতে ভাঙতে , উঠোন ভেঙে পাঁচিল উঠে , একটা তিনহাত সরু গলি পেরোলে তবে আমাদের সদর দরজা । দু’পাশের সিংহ পেছনদিকে বড় রাস্তার শরিকের ভাগে , দাঁত খিঁচিয়ে কুত্তা । আমাদের সিংহও ছিলনা শুধু সিংহের খসে যাওয়া কটা কেশ নিজের সিন্দুকে পুরে দাদু শ্রীরাম গোস্বামী বিরাজিত ছিলেন । বাবা কাকা দুজনেই কোন সিংহভাগের আশা না করে স্টিল প্লান্ট এর কারখানায় দৈনিক পঁচাত্তর পয়সা রেটে মাটি খোঁড়ার সুপারভাইজারি নিয়েছিলেন । শহর পত্তনের সময় সেই চাকরি মাসে ওভারটাইম নিয়ে ষাট-সত্তর

পুরো লেখা পড়ুন »
ছোটগল্প

সংকট

জীবনবাবু মাঝরাতে বাথরুমে উঠলেন । কাল বিশ্বাসঘাতকতার আবহাওয়ায় খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছিলেন । অনেকক্ষণ ধরে মেঘ জমে জমে সন্ধ্যেবেলায় বেশ দুটান হাওয়া ছাড়লো । বেশ মিষ্টি , ঠান্ডা , ভেজা ভেজা হাওয়া । কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে এই খবর দেওয়া হওয়াটির ভরসায় নিশ্চিন্তে খিচুড়ি চাপিয়ে ফেললেন জীবনবাবু । আসলে চাপালেন না , গিন্নিকে মোলায়েম হুকুম করলেন মাত্র । গিন্নির খিচুড়ি তোফা । শুধু একটু ঘি পড়লে সাথে কিছু লাগেনা । সেই বৃষ্টি ঢুঁ ঢুঁ । একবার ঢুঁ মারবার প্রয়োজনও মনে করল না । আর ‘বঙ্গে শিল্প নেই ইলেকট্রিক আছে’ এ স্লোগানও ক্ষণে ক্ষণে মিথ্যে হতে লাগলো । জীবনবাবু আকাশের মতোই গুম মেরে গেলেন । রাত সোয়া দশটা নাগাদ খেয়ে , এগারোটায় শুয়ে , সাড়ে বারোটায় যখন বাথরুমে উঠলেন তখনও ঠিকঠাক মাঝরাত হয়নি

পুরো লেখা পড়ুন »
ছোটগল্প

জীবন-বকুল

বেঁটেহাবুর বাবা শ্রীযুক্ত কানাজীবন ডাকের কর্মী । প্রতিদিন চুঁচড়ো অফিস । জনশ্রুতি যে ডাকঘরের দেয়াল হবার ইঁট থেকে প্রতিদিন দুহাতে দুটো বয়ে এনে পাড়ার রাস্তা থেকে বাগানটাকে তিনি আলাদা করেন । স্ত্রী পদ্মরানি দজ্জাল ও জাঁদরেল । তাঁর প্ররোচনায় পূর্বোক্ত হাবু একদিন পিতা-পুত্র সংঘাতে অরণ্যদেব হন । ঘুঁষির ধাক্কায় আংটির ক্ষত বসান জীবনবাবুর ডান চোখের ওপর । তাই ‘কানা’ । আসলে অঙ্গুরিঘাতে ডান চোখের উপরের মাংস খুলে খানিকটা ঝুলে গেছিল । ওরম দেখাতো । জগদ্ধাত্রী পুজোয় ধুম খুবই বেশি । ছোটবেলায় দেখেছি বিরাট ভাঙ্গা খিলানের এক পূজাগৃহ । আগাছাধিকৃত । খিলানের বহর তার এককালীন উজ্জীবনের স্মরণ । এখন যেখানে পুজো হয় সেটা ছোট ছোট তিনটে খিলানে ভাগ করা ফুট পনেরো উঁচু একটা কোঠা । কড়িবর্গার আলকাতরা আর দেওয়ালের অ্যালা সন্ধ্যের

পুরো লেখা পড়ুন »

কবিতা

সায়েরি