দু চারটে অপেক্ষার প্রবল প্রবাহ কেটে গেলে
ভাবি
মধ্যরাতে পাইকারি বাজারের
নিঃশব্দপ্রায়
কায়িক
ও
গৎবন্দি ব্যস্ততার রাগ , ধুলো ,জমা আলো,
ব্যবস্থার বোতলবন্দি গালাগালের ভূতকে
ছেড়ে দিই।
ওরই বিঁধবার ক্ষমতায় শেষে একদিন নিজেকেই শেষ করবে ।
তুমি, তোমরা,
আপনি, আপনারা
মুখপোড়া বেগুনের দল
চোরাচ্যাপ্টা রোদ্দুরের গ্রহণে
এলিয়ে একাদশী করেছি দুর্বার মানবিকতায়।
অনর্থক শব্দকে বৈষ্ণব বিনয়ের সাথে
গঙ্গাসই করে দিলে
ঘনঘোর ভবিষ্যতের খোলা একটা ছালছাড়ানো লাশ ডুগডুগি নাচে ।
আরেকটা নিপাতনে সিদ্ধ বা অসিদ্ধ বা সুসিদ্ধ কাব্য
তোতলায়
দোতলায় কালো হাঁড়ির ভেতর।
আমি ভিতরে যাই, ঘরবাড়ি দেখি,
কদমতলা বস্তির সামনে ফুলের বাজার রোজ
চৌরস হয়ে
গাঁদার বিশ ডেস্স ডেস্স চিল্লোয় ।
আমার অস্তিত্ব নেহাৎ কতোগ্গুলো পরিপার্শ্বের পারিপাট্যে পাটের ফেঁশোর মত আটকে ঘোরে।
কোথাও উড়ে গেলে আবার ফুঁ খায় ।
এই বেশ ভালো কিম্বা মন্দ বা মেশামেশি বা আপাত বা অন্য যা কিছু
পিকাসো চার্বাক সিন্দবাদ যাই বলুন
আরেকবার ঘুরে এসে দেখব ।