তমোনাশ বাংলা ভাষাসাহিত্য ও ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। যুক্ত আছেন ভাষা চর্চার বিষয়ে। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, সংস্কৃত ও উর্দুর পর তাঁর এখনকার চর্চা জার্মান ও মারাঠি ভাষা। ভাষাচর্চার মাধ্যমে দুনিয়াব্যাপী জীবনচর্চার মৌলিক একত্ব খুঁজে নিতে চান তমোনাশ।

তিনি বঙ্গীয় সঙ্গীত সমিতি থেকে সঙ্গীত ভাস্কর হিসেবে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং স্বর্ণপদক পান। চণ্ডীগড় প্রাচীন কলা কেন্দ্র থেকে সঙ্গীত প্রভাকর হিসেবে পান রৌপ্য পদক। এছাড়াও ভারতবিখ্যাত ভাতখান্ডে মিউজিক কলেজের সর্বোচ্চ পরীক্ষা সঙ্গীত নিপুণ পরীক্ষাও তিনি সফলভাবে উত্তীর্ণ।

সাম্প্রতিক লেখা

কবিতা

দায়িত্ব

দায়িত্ববাড়ির দেয়ালে ঝুলিয়ে, চলে আসা, ছবির মত হয়ে যাচ্ছ তুমি।খুব সবসময় ভাবব বলে ফিরে এলাম –এদিকে তুমি বহুপ্রশাখী।তারা তোমার দিকেই বিষকাঁটা মেলে এগোয়।সিঁটিয়ে যাচ্ছ,চিৎকার করছ, গুমরোচ্ছ …. শেকড় চারিয়েছে….গাছ হাঁটতে পারে না। গান–কথা–আবছায়া সময়ের কাঁটাচামচে বাঁচার তামাগ্লাসে ঘুলিয়ে বিষামৃত তৈয়ার।না খেলে সাঁড়াশিতে মুখ ফাঁক করে ফাঁদলে খাওয়াবে। দেয়ালে ঝুলিয়ে চলে আসা ছবির মত হয়ে যাচ্ছ তুমি…তোমার অবসর নেই…সৃষ্টি নেই অগত্যা।বৃষ্টি দূরঅস্ত হলে বাথটব আশ্রয় করেছিলাম।তোয়ালেতে হাত যায় না।হাত পায়ের মত মনটা পচে না যায়,   দেখো।

Read More »
সায়েরি

সায়েরি ১

রাত কী ট্রেন মে সফর করতা হুঁ।মিল যায়ে কোই দিলচস্ত তখত আসানিসেদূর কে গাওঁকে থিরক্তা বাল্বে ইয়াদ দিলাতি হ্যায়দিল্লাগিকা । ইশক সে থর্থারাতা ইস হাসিন জাহান্নুমকে কোই এক অনেকো উদাসীসে মুতাসির হুয়েউস্তাদ আমির খাঁনে কেয়া তবিয়াত পায়ে থে কেয়া তানে ক্যাসি বন্দিশে !! উনকে তানে পেঁচিদা থি আউর বড়হত সর্দিকে চাঁন্দনী রাতকে তারহাদোজাহানস্ত !! ঘুট ঘুটকে মরনে কে লিয়ে রুঠ রুঠকে জিনে কে লিয়ে বাকি যো সারে শাম ম্যায় কদমবোসি করতা হুঁ উনকা ।কমসেকম ইয়াদে লায়ে হ্যায়গুলআশিক হুয়ে ইন্তেজারপে কুরবান শামেভি হামনে কাভি বিতায়ি হ্যায়!! 1 رات کو ٹرین کا سفر کیا ہے؟مل جائے کوئی دلچست تخت آساندور کے گاؤں کے تھرکتا بالبے یاد دلاتی ہے۔دلگیکا عشق سے تھورتھراتا ہے حسین جہنم کے کوئی ایک بھوکو اُداسی مطاسیر ہوا ۔استاد امیر

Read More »
ছোটগল্প

আবদ্ধ

সিট  সালা!! সকাল বেলাই মোটাটা এসে বসেছে । একটু দম নিতে পারছিনা । রোজ সকালে ট্রেন থেকে নামবে সবার পেছনে । কেউ তো সামনে আসতেই দেয় না ওটাকে । আটকে দেয় তো পুরো ! শেষে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে নেমে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়বে । ও ভাবে দৌড়াচ্ছে কিন্তু লোকে মোটেই ভাবেনা । এখন তাও সেই মেশিনের সিঁড়ি হয়েছে , ওতে করে এক নম্বর প্লাটফর্মে নেমে তবে বাইরে আসে । ছুটে এসে ধপ করে বসে পড়ে  । আমি রোজ আড়ে আড়ে তাকাই । ভগবানকে ডাকি । পাশেই দু’চারটে মন্দির নতুন হয়েছে । ‘আজ যেন মালটা না আসে ,  কামাই করে’ । কিন্তু কামাই করে না । হাঁপাতে হাঁপাতে ঠিক আসে । টেরা মাল । কিন্তু ঠিক দেখি একই জায়গায় বসে পড়ে ।

Read More »
ছোটগল্প

নিরর্থক

জ্যোৎস্নালোকিত রাত্রিতে কুয়ার ধারে দাঁড়াইয়া সে তাহার তিন মাস সতেরো দিন বয়সী মাজা রংয়ের নধর পুত্রসন্তানটিকে প্রগাঢ় চুম্বন করিল ।  হে প্রাণপ্রিয় সস্তা খেউরের রসিক পাঠক , আমাদের ফট করে ফুটে উঠে ঝপ করে ফুরিয়ে গেল গল্পমালার উনপঞ্চবিংশৎ গল্পে আপনাকে স্বাগত জানাই । এ গল্প এমন একটি মেয়ের দাঁত ওঠার আগে যার নামকরণ হয়নি । নগা মন্ডলের ষষ্ঠ কন্যার নামের প্রয়োজন বহুদিন অনুভূত হয়নি । কারণ কেউ তাকে ডাকতো না । দাদু ঠাকমা তার বহু আগে জগত মদ্যের মায়া ত্যাগ করায় আদর করার কেউ অবশিষ্ট ছিল না । তাই শোয়া থেকে উল্টোনো , উল্টোনো  থেকে কুক্কুরীমুদ্রা , কুক্কুরীমুদ্রা থেকে হামাগুড়ি হয়ে হাঁটা পর্যন্ত তার মা ভিন্ন কেউ খেয়াল করলো না । খেয়াল করলো দাঁত ওঠার সময় । উপরের মাড়ির সামনের

Read More »
কবিতা

পুনর্জন্ম

দু চারটে অপেক্ষার প্রবল প্রবাহ কেটে গেলেভাবিমধ্যরাতে পাইকারি বাজারেরনিঃশব্দপ্রায় কায়িকওগৎবন্দি ব্যস্ততার রাগ , ধুলো ,জমা আলো,ব্যবস্থার বোতলবন্দি গালাগালের ভূতকে ছেড়ে দিই।ওরই বিঁধবার ক্ষমতায় শেষে একদিন নিজেকেই শেষ করবে ।তুমি, তোমরা, আপনি, আপনারা মুখপোড়া বেগুনের দলচোরাচ্যাপ্টা রোদ্দুরের গ্রহণে এলিয়ে একাদশী করেছি দুর্বার মানবিকতায়।অনর্থক শব্দকে বৈষ্ণব বিনয়ের সাথে গঙ্গাসই করে দিলে ঘনঘোর ভবিষ্যতের খোলা একটা ছালছাড়ানো লাশ ডুগডুগি নাচে ।আরেকটা নিপাতনে সিদ্ধ বা অসিদ্ধ বা সুসিদ্ধ কাব্য তোতলায় দোতলায় কালো হাঁড়ির ভেতর।আমি ভিতরে যাই, ঘরবাড়ি দেখি,কদমতলা বস্তির সামনে ফুলের বাজার রোজচৌরস হয়ে গাঁদার বিশ ডেস্স ডেস্স চিল্লোয় ।আমার অস্তিত্ব নেহাৎ কতোগ্গুলো পরিপার্শ্বের পারিপাট্যে পাটের ফেঁশোর মত আটকে ঘোরে।কোথাও উড়ে গেলে আবার ফুঁ খায় ।এই বেশ ভালো কিম্বা মন্দ বা মেশামেশি বা আপাত বা অন্য যা কিছু পিকাসো চার্বাক সিন্দবাদ যাই বলুনআরেকবার ঘুরে এসে দেখব ।

Read More »
ছোটগল্প

ইষ্ট-অনিষ্ট

আমরা উৎকর্ণ হয়ে থাকতাম । মা-কাকিমা উদ্বিগ্ন । বাবা-কাকারা কী থাকতেন জানিনা , কিন্তু স্বস্তিতে থাকতেন না এটুকু ঠিক । দোতলা বাড়ি আমাদের । যদিও পলেস্তরাগুলো বাইরের দিকে কিছু কিছু খসেছিল , ভিতর সব ভালই সাফসুতরো ছিল । দুর্গামন্দিরের পেছনে শরিকে শরিকে ভাঙতে ভাঙতে , উঠোন ভেঙে পাঁচিল উঠে , একটা তিনহাত সরু গলি পেরোলে তবে আমাদের সদর দরজা । দু’পাশের সিংহ পেছনদিকে বড় রাস্তার শরিকের ভাগে , দাঁত খিঁচিয়ে কুত্তা । আমাদের সিংহও ছিলনা শুধু সিংহের খসে যাওয়া কটা কেশ নিজের সিন্দুকে পুরে দাদু শ্রীরাম গোস্বামী বিরাজিত ছিলেন । বাবা কাকা দুজনেই কোন সিংহভাগের আশা না করে স্টিল প্লান্ট এর কারখানায় দৈনিক পঁচাত্তর পয়সা রেটে মাটি খোঁড়ার সুপারভাইজারি নিয়েছিলেন । শহর পত্তনের সময় সেই চাকরি মাসে ওভারটাইম নিয়ে ষাট-সত্তর

Read More »
© 2024 Tamonash Chattopadhyay
Designed with Love by ArtFolio