তমোনাশ বাংলা ভাষাসাহিত্য ও ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। যুক্ত আছেন ভাষা চর্চার বিষয়ে। বাংলা, হিন্দি, উর্দু, সংস্কৃত ও উর্দুর পর তাঁর এখনকার চর্চা জার্মান ও মারাঠি ভাষা। ভাষাচর্চার মাধ্যমে দুনিয়াব্যাপী জীবনচর্চার মৌলিক একত্ব খুঁজে নিতে চান তমোনাশ।

তিনি বঙ্গীয় সঙ্গীত সমিতি থেকে সঙ্গীত ভাস্কর হিসেবে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং স্বর্ণপদক পান। চণ্ডীগড় প্রাচীন কলা কেন্দ্র থেকে সঙ্গীত প্রভাকর হিসেবে পান রৌপ্য পদক। এছাড়াও ভারতবিখ্যাত ভাতখান্ডে মিউজিক কলেজের সর্বোচ্চ পরীক্ষা সঙ্গীত নিপুণ পরীক্ষাও তিনি সফলভাবে উত্তীর্ণ।

সাম্প্রতিক লেখা

ছোটগল্প

লক্ষ্যভেদ

উঠানে দড়াম করিয়া কিছু ভারী জিনিস পড়িবার শব্দ হইল। সংলগ্ন ঘরগুলির মধ্যে ভীষণ গুমোট অন্ধকার চাপিয়া বসিয়া আছে । এমনভাবে আলোকের প্রতিটি প্রবেশদ্বার রুদ্ধ যে শঙ্কা হয় এই ঘরে কোনদিন আলো প্রবেশ করে নাই বা করিবেও না । এই ঘরে যে মানুষ বাস করিতে পারে তাহা কল্পনারও অযোগ্য । কিন্তু মানুষ ছিল । তাহারা কিছুদিন যাবৎ যে আলোককে একটা যমের মত শত্রু ভাবিতেছিল । গ্রামে জাতিদাঙ্গা শুরু হইয়াছে আজ প্রায় মাস তিনেক হইল । পুলিশে পুলিশে চারিদিক ছয়লাপ হইয়া গিয়াছে তাহাও প্রায় মাসখানেক। উঠানের শব্দের খোঁজে একখানি কালো শীর্ণ মুখ ডান দিকের ঘরের দরজা ফাঁক করিয়া বাহির হইল । সে বিপিনের মা । পুলিশের নাইট ডিউটির টহল চলাকালীন একটা অস্পষ্ট কোলাহল সেও শুনিয়া ছিল কিন্তু কিছু ঠাহর করিতে পারে নাই

Read More »
সায়েরি

সায়েরি ২

থক রহা হুঁ ম্যায়কিঁউকি কোই কাম নেহি হ্যায়।ফাড়ে ফাড়ে আঁখে ভি থকি,ফিরভি উনহে কোই আরাম নেহি হ্যায়।বিখরে পড়ে হুয়ে হ্যায় নজারে , খুশবু ,জাম , জুনুন , মোহাব্বত !মেরা কোই শাম নেহি হ্যায়।রাতেঁ তো নিনদোকো জমায়া হুয়া কালে পাত্থরোঁকা নাম হ্যায়।উসমে ভি দরারে আউর ছালে পড় গ্যয়ে হ্যায় হুজুর!শাম যো মায়ুশি, সিদ্বা আউর ইন্তেজারকা হোতি হ্যায়,ইঁহা তো উনকা কোই নামো-নিশান নেহি হ্যায়। سیاری 2   یہیں رہوکیوکی کوئی کام نہیں ہے۔میں پھنس گیا ہوں،پھروی انھے کوئی آرام نہیں ہے۔ہیو ہے بکھر گیا۔ نذر، خوشبو، جام، جنون، محبت!میرا کوئی شام نہیں ہے۔رتن تو ننڈوکو جمایا ہوا کالے پتھرونکا نام ہے۔اسمے وی ڈرارے اور چلے پڑ گئے ہیں حضور!شام یو میوشی، سدوا اور انتظار ہوتی ہے،انہا سے انکا کوئی نامو نشان نہیں ہے۔

Read More »
সায়েরি

সায়েরি ১

রাত কী ট্রেন মে সফর করতা হুঁ।মিল যায়ে কোই দিলচস্ত তখত আসানিসেদূর কে গাওঁকে থিরক্তা বাল্বে ইয়াদ দিলাতি হ্যায়দিল্লাগিকা । ইশক সে থর্থারাতা ইস হাসিন জাহান্নুমকে কোই এক অনেকো উদাসীসে মুতাসির হুয়েউস্তাদ আমির খাঁনে কেয়া তবিয়াত পায়ে থে কেয়া তানে ক্যাসি বন্দিশে !! উনকে তানে পেঁচিদা থি আউর বড়হত সর্দিকে চাঁন্দনী রাতকে তারহাদোজাহানস্ত !! ঘুট ঘুটকে মরনে কে লিয়ে রুঠ রুঠকে জিনে কে লিয়ে বাকি যো সারে শাম ম্যায় কদমবোসি করতা হুঁ উনকা ।কমসেকম ইয়াদে লায়ে হ্যায়গুলআশিক হুয়ে ইন্তেজারপে কুরবান শামেভি হামনে কাভি বিতায়ি হ্যায়!! 1 رات کو ٹرین کا سفر کیا ہے؟مل جائے کوئی دلچست تخت آساندور کے گاؤں کے تھرکتا بالبے یاد دلاتی ہے۔دلگیکا عشق سے تھورتھراتا ہے حسین جہنم کے کوئی ایک بھوکو اُداسی مطاسیر ہوا ۔استاد امیر

Read More »
ছোটগল্প

জীবন-বকুল

বেঁটেহাবুর বাবা শ্রীযুক্ত কানাজীবন ডাকের কর্মী । প্রতিদিন চুঁচড়ো অফিস । জনশ্রুতি যে ডাকঘরের দেয়াল হবার ইঁট থেকে প্রতিদিন দুহাতে দুটো বয়ে এনে পাড়ার রাস্তা থেকে বাগানটাকে তিনি আলাদা করেন । স্ত্রী পদ্মরানি দজ্জাল ও জাঁদরেল । তাঁর প্ররোচনায় পূর্বোক্ত হাবু একদিন পিতা-পুত্র সংঘাতে অরণ্যদেব হন । ঘুঁষির ধাক্কায় আংটির ক্ষত বসান জীবনবাবুর ডান চোখের ওপর । তাই ‘কানা’ । আসলে অঙ্গুরিঘাতে ডান চোখের উপরের মাংস খুলে খানিকটা ঝুলে গেছিল । ওরম দেখাতো । জগদ্ধাত্রী পুজোয় ধুম খুবই বেশি । ছোটবেলায় দেখেছি বিরাট ভাঙ্গা খিলানের এক পূজাগৃহ । আগাছাধিকৃত । খিলানের বহর তার এককালীন উজ্জীবনের স্মরণ । এখন যেখানে পুজো হয় সেটা ছোট ছোট তিনটে খিলানে ভাগ করা ফুট পনেরো উঁচু একটা কোঠা । কড়িবর্গার আলকাতরা আর দেওয়ালের অ্যালা সন্ধ্যের

Read More »
কবিতা

নিঃস্ব

নিঃস্ব ও অফলের বার্ধক্যের জন্মদিন পালনের বিলাসিতার মত প্রেম এসে নীল বিড়ালের মত গ্যাঁট হয়ে বসল ব্যাবিলনের শূন্যদ্যানের বারান্দায় । পিসার হেলানে মিনারের চেয়ে অনেক বেশি হেলানো যৌবনের গ্রাফের স্বতাস্তচলগামিতাকে , এসো কাব্যে বাঁধি। কাছে গেলে তাজের আকার যেমন আকাশের গায়ে দানবের মতো ফুলে ফুলে বাড়ে ….. আমার আক্রোশে বাড়ে রাত। নিদ্রাহীন, এলানো ।অনতিদূরের দোতলার ঘোরানো সিঁড়িঘরে জ্বলে তীব্রতা …. অথবা তিনতলার !!! কে জানে!কতখানি তীব্র রাগ হলে ছাতিম ফুলের গন্ধের গায়ে কর্কের ছিপির কারুকার্য ওঠে ফুলে !! নিম্ন চাপের জল লেগে কর্কের ফাঁক ফুটো বোঁজে ।কেউ কি দূর দিয়ে ট্রেনের পাদানীর নোংরা খবরের কাগজের মত উড়ে উড়ে ডাকে খালি? পাশের পোস্টে ধাক্কা খায় ? চোখ উল্টে , ঘিলু ছেতড়ে ‘ ডাকে বার বার ডাকে ?। হঠাৎ সেদিন সন্ধ্যায় বিফল

Read More »
কবিতা

পুনর্জন্ম

দু চারটে অপেক্ষার প্রবল প্রবাহ কেটে গেলেভাবিমধ্যরাতে পাইকারি বাজারেরনিঃশব্দপ্রায় কায়িকওগৎবন্দি ব্যস্ততার রাগ , ধুলো ,জমা আলো,ব্যবস্থার বোতলবন্দি গালাগালের ভূতকে ছেড়ে দিই।ওরই বিঁধবার ক্ষমতায় শেষে একদিন নিজেকেই শেষ করবে ।তুমি, তোমরা, আপনি, আপনারা মুখপোড়া বেগুনের দলচোরাচ্যাপ্টা রোদ্দুরের গ্রহণে এলিয়ে একাদশী করেছি দুর্বার মানবিকতায়।অনর্থক শব্দকে বৈষ্ণব বিনয়ের সাথে গঙ্গাসই করে দিলে ঘনঘোর ভবিষ্যতের খোলা একটা ছালছাড়ানো লাশ ডুগডুগি নাচে ।আরেকটা নিপাতনে সিদ্ধ বা অসিদ্ধ বা সুসিদ্ধ কাব্য তোতলায় দোতলায় কালো হাঁড়ির ভেতর।আমি ভিতরে যাই, ঘরবাড়ি দেখি,কদমতলা বস্তির সামনে ফুলের বাজার রোজচৌরস হয়ে গাঁদার বিশ ডেস্স ডেস্স চিল্লোয় ।আমার অস্তিত্ব নেহাৎ কতোগ্গুলো পরিপার্শ্বের পারিপাট্যে পাটের ফেঁশোর মত আটকে ঘোরে।কোথাও উড়ে গেলে আবার ফুঁ খায় ।এই বেশ ভালো কিম্বা মন্দ বা মেশামেশি বা আপাত বা অন্য যা কিছু পিকাসো চার্বাক সিন্দবাদ যাই বলুনআরেকবার ঘুরে এসে দেখব ।

Read More »
© 2024 Tamonash Chattopadhyay
Designed with Love by ArtFolio